আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষায় আসার জন্য যত বাধা (?!)
১১ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ২০১৯
[ডিসক্লেইমার - এই পোস্ট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং -এর সাথে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না।]
আমার ব্লগ লেখালেখির পেছনে ডিপার্টমেন্টের জুনিয়ারদের অনেক ভূমিকা। কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, জুনিয়ারদের সাথে আমার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করার জন্যই ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রথম লিখি।আমি আক্ষরিক অর্থেই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট শূন্য থেকে শুরু করেছি। তাই নতুন কিছু শিখলে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারতাম না। প্রথমদিকে গুগল ডক-এ লিখে ডিপার্টমেন্টের ফেইসবুক পেজে তার লিংক শেয়ার করতাম।সবার লাইক আর কমেন্টে খুব উৎসাহ পেতাম (এখনো পাই)। আশীষ চন্দের (এখন টেম্পল ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করছে) পরামর্শে লেখাগুলোকে একটা ব্লগে পোস্ট আকারে পাবলিশ শুরু করি কিছুদিন পর। কায়সার সাবরিনের (এখন লিংকড-ইনে কাজ করছে) পরামর্শে ব্লগের নাম ঠিক করি। তারপর আসলে মাঝে মাঝে পোস্ট দিতাম - শুধুই ডিপার্টমেন্টের ফেইসবুক পেজে। নিজের ফেসবুকে (হয়তো একবার ছাড়া) কখনোই কোনো পোস্ট শেয়ার করেছি বলে মনে পড়ে না। কিছুটা সংকোচ, অস্বস্থিবোধ, "লোক দেখানো হয়ে যাবে" - এসব ভেবেই কখনো শেয়ার করি নাই। এই কিছুদিন হলো আহমেদ শামীম হাসান শাওনের (এখন 'পাঠাও' - এ কাজ করেছে) উৎসাহে ব্লগ পোস্ট গুলো নিজের ব্লগে পোস্ট করার পাশাপাশি Medium -এর প্রোগ্রামিং পাতা - তে শেয়ার করা শুরু করি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু করে ১০০, ২০০ করে এখন আমার এই ব্লগের হিট সংখ্যা ২২ হাজারের উপর! পাঠকদের অনেক ধন্যবাদ!
আজকের লেখাও আরেক জুনিয়রের ক্রেডিট। একরাম হোসেনে, এই কিছুদিন হলো পিএইচডি করতে ইউনিভার্সিটি অফ লুইজিয়ানা এট লাফায়েত -এ এসেছে। তার সাথে সেদিন ফোনে আলাপ করছিলাম। অনেক কথার মাঝে এক পর্যায়ে সে বলছিলো ডিপার্টমেন্টে অনেক জুনিয়রই আছে যাদের অনেক পটেনশিয়াল! শুধু একটু উৎসাহ আর দিক নির্দেশনার অভাবের কারণেই ওরা বাইরে (বিশেষ করে আমেরিকায়) পড়তে আসতে সাহস করে না। "ভাই, আপনি তো গ্রুপে পোস্ট-টোস্ট দেন, এই বিষয়ে একটা কিছু লিখবেন।"
কী লিখবো ভাবছিলাম। ২০০৮-এর অগাস্টে প্রথম পড়তে আমেরিকায় আসি, এখন ২০১৯! নতুনদেরই তো আসলে এই বিষয়ে লেখার কথা। লিখছেও। গ্রুপে প্রায়ই দেখি "এই বছর আরো 'এতো জন' বাইরে এসেছে", "অমুক প্রফেসর নতুন স্টুডেন্ট নিচ্ছেন, আগ্রহীরা যোগাযোগ করো" টাইপ পোস্ট। আর পোস্ট গুলো দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। এর পর আর কী আর উৎসাহ দিবো?
একটু ভাবার পরে মনে হলো, কী কী কারণে বাইরে পড়তে আসা উচিত -সেটার চেয়ে বরং কী কী বাধার (?) কারণে বাইরে আসতে লোকজন ভয় পায় - সেটা নিয়েই লেখি। অন্তত আমি নিজে যেসব বাধা পেরিয়েই এসেছি, সেসব লিখি। সেই লেখা পড়ে জুনিয়রদের কেউ যদি উৎসাহী হয় - খারাপ কী ? প্রশ্ন- উত্তর আকারেই লিখছি:
পারবা। দেশে আমরা অনেক বাধা- বিপত্তি পার করেই পড়াশুনা করি। আমরা নিজেরাও হয়তো জানি না যে আমরা একেকজন কত বড় ফাইটার। আর বাইরের পড়াশুনা (কোর্স ওয়ার্ক) আসলেই অনেক সহজ। না, আমি মোটেও বাড়িয়ে বলছি না। হয়তো কিছু ব্যতিক্রম আছে। কিন্তু সাধারণত আসলেও অনেক সহজ। বিশ্বাস না হলে বাইরে পড়ছে - এমন কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারো।
আজকে এই পর্যন্তই। অন্য কোনো পয়েন্ট মনে পড়লে বা কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে পরে নিচে যোগ করে দিবো। দোয়ায় রাইখো ভাই!
--ইশতিয়াক। ৭ম ব্যাচ, সি এস ই ডি ইউ
১১ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ২০১৯
[ডিসক্লেইমার - এই পোস্ট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং -এর সাথে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না।]
আমার ব্লগ লেখালেখির পেছনে ডিপার্টমেন্টের জুনিয়ারদের অনেক ভূমিকা। কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, জুনিয়ারদের সাথে আমার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করার জন্যই ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রথম লিখি।আমি আক্ষরিক অর্থেই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট শূন্য থেকে শুরু করেছি। তাই নতুন কিছু শিখলে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারতাম না। প্রথমদিকে গুগল ডক-এ লিখে ডিপার্টমেন্টের ফেইসবুক পেজে তার লিংক শেয়ার করতাম।সবার লাইক আর কমেন্টে খুব উৎসাহ পেতাম (এখনো পাই)। আশীষ চন্দের (এখন টেম্পল ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করছে) পরামর্শে লেখাগুলোকে একটা ব্লগে পোস্ট আকারে পাবলিশ শুরু করি কিছুদিন পর। কায়সার সাবরিনের (এখন লিংকড-ইনে কাজ করছে) পরামর্শে ব্লগের নাম ঠিক করি। তারপর আসলে মাঝে মাঝে পোস্ট দিতাম - শুধুই ডিপার্টমেন্টের ফেইসবুক পেজে। নিজের ফেসবুকে (হয়তো একবার ছাড়া) কখনোই কোনো পোস্ট শেয়ার করেছি বলে মনে পড়ে না। কিছুটা সংকোচ, অস্বস্থিবোধ, "লোক দেখানো হয়ে যাবে" - এসব ভেবেই কখনো শেয়ার করি নাই। এই কিছুদিন হলো আহমেদ শামীম হাসান শাওনের (এখন 'পাঠাও' - এ কাজ করেছে) উৎসাহে ব্লগ পোস্ট গুলো নিজের ব্লগে পোস্ট করার পাশাপাশি Medium -এর প্রোগ্রামিং পাতা - তে শেয়ার করা শুরু করি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু করে ১০০, ২০০ করে এখন আমার এই ব্লগের হিট সংখ্যা ২২ হাজারের উপর! পাঠকদের অনেক ধন্যবাদ!
আজকের লেখাও আরেক জুনিয়রের ক্রেডিট। একরাম হোসেনে, এই কিছুদিন হলো পিএইচডি করতে ইউনিভার্সিটি অফ লুইজিয়ানা এট লাফায়েত -এ এসেছে। তার সাথে সেদিন ফোনে আলাপ করছিলাম। অনেক কথার মাঝে এক পর্যায়ে সে বলছিলো ডিপার্টমেন্টে অনেক জুনিয়রই আছে যাদের অনেক পটেনশিয়াল! শুধু একটু উৎসাহ আর দিক নির্দেশনার অভাবের কারণেই ওরা বাইরে (বিশেষ করে আমেরিকায়) পড়তে আসতে সাহস করে না। "ভাই, আপনি তো গ্রুপে পোস্ট-টোস্ট দেন, এই বিষয়ে একটা কিছু লিখবেন।"
কী লিখবো ভাবছিলাম। ২০০৮-এর অগাস্টে প্রথম পড়তে আমেরিকায় আসি, এখন ২০১৯! নতুনদেরই তো আসলে এই বিষয়ে লেখার কথা। লিখছেও। গ্রুপে প্রায়ই দেখি "এই বছর আরো 'এতো জন' বাইরে এসেছে", "অমুক প্রফেসর নতুন স্টুডেন্ট নিচ্ছেন, আগ্রহীরা যোগাযোগ করো" টাইপ পোস্ট। আর পোস্ট গুলো দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। এর পর আর কী আর উৎসাহ দিবো?
একটু ভাবার পরে মনে হলো, কী কী কারণে বাইরে পড়তে আসা উচিত -সেটার চেয়ে বরং কী কী বাধার (?) কারণে বাইরে আসতে লোকজন ভয় পায় - সেটা নিয়েই লেখি। অন্তত আমি নিজে যেসব বাধা পেরিয়েই এসেছি, সেসব লিখি। সেই লেখা পড়ে জুনিয়রদের কেউ যদি উৎসাহী হয় - খারাপ কী ? প্রশ্ন- উত্তর আকারেই লিখছি:
১. বাইরে পড়তে যাবো, আমার বা আমার পরিবারের তো এতো টাকা নেই, কী করে এতো কিছু ম্যানেজ করা সম্ভব?
আমেরিকায় পিএইচডি করতে আসলে মোটামুটি ফান্ডিং নিশ্চিত। রিসার্চ বা টিচিং এসিস্টেন্টশিপ (মাসে ১৫০০ - ১৮০০ ডলার বেতনে) দিয়েই ইউনিভার্সিটি গুলো পিএইচডি-তে এডমিশন হয়। মাস্টার্স করতে আসলেও অনেকক্ষেত্রে ফান্ডিং জোগাড় করা সম্ভব (একটু কঠিন অবশ্য)। ফান্ডিং হলে, আসার সময় ২ - ৩ হাজার ডলার সাথে নিয়ে আসলে (শুরুতেই বেতন দিবে না।তাই, বাসা ভাড়া, খাবার, হেলথ ইন্সুরেন্স, ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদির জন্য ডলার প্রয়োজন) বাকি সব ম্যানেজ হয়ে যাবে।
২. GRE, TOEFL এইগুলো অনেক কঠিন। আমাকে দিয়ে হবে না। সময়ই পাই না, পড়বো কখন? ভালো স্কোর না হলে তো রেজিস্ট্রেশনের পুরা টাকাটাই নষ্ট।কঠিন কিছুটা তো বটেই। আমেরিকানরা সবকিছুতেই একটা ছাঁকনির ব্যবস্থা রেখে দিয়েছে। বাইরে পড়তে আসার বেলায় এই ছাঁকনিটা GRE আর TOEFL। এই একটা বাঁধা ডিঙানোর সাহস করলেই বাকিগুলো এমনিতেই হয়ে যাবে। আর কম্পিউটার সায়েন্সের জন্য, মোটামুটি রেঙ্কিং-এর একটা ইউনিভার্সিটিতে আসতে আসলে GRE -র ম্যাথ ভালো করতে পারলেই হয়। GRE English -এর স্কোর খুব ভালো না হলেও সমস্যা নেই। TOEFL -এ ভালো করলেই চলবে। আর বিশ্বাস করো, GRE -র ম্যাথ আর TOEFL -এ ভালো করার জন্য খুব বেশি পড়তে হয় না। টাকা নষ্ট হবে না, ইনশাল্লাহ।
৩. GRE, TOEFL এইগুলোর রেজিস্ট্রেশন করতে তো ক্রেডিট কার্ড লাগে। আমার নাই। এখন কী করার আছে?২০০৭-২০০৮ সালে, আমাদের সময় তো দেশে কোনো ক্রেডিট কার্ডই বলতে গেলে ছিল না। দেশের বাইরের আত্মীয়-স্বজন কিংবা বড় ভাই, বন্ধুরাই ভরসা ছিল। ওঁদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছি, আর তার সমান পরিমাণ টাকা দেশে তাঁদের কাউকে দিয়ে দিয়েছি। এখন ডিপার্টমেন্টের সিনিয়ররাই কমপক্ষে ১০০ জন দেশের বাইরে আছে, যাঁরা প্রায়ই দেশে টাকা পাঠান। গ্রুপে একটা "হেল্প চাই" পোস্ট দিলে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, কেউ না কেউ রেজিস্ট্রেশনের ফি খুশি হয়েই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে দিবে। টাকাটা তাদের কথামতো তাদের বাসায় গিয়ে দিয়ে আসলেই হয়ে যাবে। বাকিতে বা ধীরে ধীরে শোধ করতে চাইলেও সম্ভব। আওয়াজ দিয়েই দেখো না।
৪. আমার সিজিপিএ অনেক কম। আমাকে কী এডমিশন দিবে?ভাইরে! তোমাদের তো তাও সিজিপিএ আছে। আমাদের সময় ক্লাস সিস্টেম ছিলো, তাও আবার ৬০% + হলেই ফার্স্ট ক্লাস। হাতে গোনা কয়েকজন বাদে কেউই ৮০% মার্ক্স্ পেতো না। সিজিপিএ সিস্টেমে তো তা 'B' - ও না। আমার মনে আছে, হায়দার স্যার আমার জন্য লেখা তাঁর রেকমেন্ডেশন লেটারে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করে দিয়েছিলেন যাতে শুরুতেই বাদ না পড়ি। সুতরাং, সিজিপিএ অবশ্যই জরুরি, কিন্তু খারাপ হয়েছে বলেই যে এডমিশন হবে না - সেটা পুরোপুরিই ভুল ধারণা। GRE (ম্যাথ), TOEFL আর ভালো SOP (স্টেটমেন্ট অফ পারপাস) থাকলে এডমিশন হবে, চিন্তার কোনো কারণ নেই।
৫. অনার্সে আমার কোনো রিসার্চ পাবলিকেশন নাই। পিএইচডি তে কী আমাকে নিবে?আমারও ছিল না। আমার পরিচিত আমাদের ব্যাচের যারাই পিএইচডি করতে আমেরিকায় আসছে (প্রায় ১৫-১৬ জন), ২-১ জন বস বাদে কারোরই আন্ডারগ্রেডে কোনো পাবলিকেশন ছিল না। সুতরাং, পাবলিকেশন ছাড়া পিএইচডি এডমিশন হবে না - এইটা একটা ফালতু কথা।
৬. কোন কোন ইউনিভার্সিতে এপ্লাই করবো, ভাই? এতো ঝামেলা !এইটা ভালো প্রশ্ন। আমি মোট ৫ তা ইউনিভার্সিতে করেছিলাম। ২ টা টপ ইউনিভার্সিতে, ২ টা মিডিয়াম লেভেলের, আরেকটা একদম নিচের রাঙ্কিং ইউনিভার্সিটিতে। ডিপার্টমেন্টের ৫ম ব্যাচের বড় ভাই, শিশির ভাইয়ের (উনার ফেসবুক প্রোফাইল লিংক পাচ্ছি না!) কাছ থেকে পাওয়া আইডিয়াটা ছিল এই রকম: টপ গুলোতে ভাগ্য ভালো থাকলে লেগে গেলে তো কথাই নেই, মিডিয়াম গুলোতে এডমিশন হওয়া উচিত। আর কোনোটাতে না হলে নিচের লেভেলেরটাতে হবেই। আমার মোট ৪ টা ইউনিভার্সিতে পার্শিয়াল কিংবা ফুল ফান্ডিং সহ এডমিশন হয়েছিল। আমি খুঁজে খুঁজে বাংলাদেশী আছে এমন ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করেছিলাম। এখন তো ডিপার্মেন্টের ফেসবুক গ্রুপে একটা "কে কই আছেন ভাই?" - টাইপ হেল্প পোস্ট করলেই সব জানা যাবে।
৭. প্রফেসরকে খুঁজবো কিভাবে ? মাথা নষ্ট অবস্থা।খোঁজার আসলে দরকার নাই। তুমি নিজে রিসার্চ টপিক নিয়ে খুব বেশি চুজি না হলে, প্রফেসরদের আগে থেকেই নক করার দরকার নাই। প্রফেসররাই স্টুডেন্ট খুজঁতে থাকে। ইউনিভার্সিটি গুলোতে এপ্লাই করে তারপর প্রফেসরদেরকে নক দিয়ে বলা উচিৎ: "আপনার ইউনিভার্সিটিতে এপলাই করেছি, সুযোগ হলে আমার এপ্লিকেশন প্যাকেজটা দেখবেন। আপনার সাথে রিসার্চ করতে আমি আগ্রহী" - কাজ হয়ে যাবে।
৮. ডিপার্টমেন্ট থেকে পাস করেছি অনেক বছর হয়ে গেলো, অনেকদিনের গ্যাপ। এখন কী আর পিএইচডি করতে বাইরে আসার সময় আছে??হুম। গ্যাপ বেশি হলে সমস্যা। কিন্তু এই গ্যাপে যদি তুমি কম্পিউটার সায়েন্স রিলেটেড জব করে থাকো, তাইলে আসলে সমস্যা নাই। ইন্ডাস্ট্রি তে কাজ করে পরে পিএইচডি তে এডমিশন নিয়ে ডিগ্রী করেছে, এমন লোক অনেক আছে। আমাদের ব্যাচেরই এক ফ্রেন্ড পাশ করার প্রায় ৭-৮ বছর পর পিএইচডি করতে আমেরিকাতে (ফান্ডিং সহ) এই কয়েকদিন আগেই এসেছে। পিএইচডি করার আসলে বয়স নাই। ইচ্ছা আর খাটার সাহস থাকলেই হয়। কারো কাছে একবার শুনেছিলাম, পিএইচডি করতে ১০% মেধা আর ৯০% খাটুনি করার প্রয়োজন। কথাটা আমি বিশ্বাস করি।
৯. অপ্প্লিকেশন থেকে শুরু করে এডমিশন - শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তো অনেক স্টেপস। কোনটার পর যে কোনটা করবো বুঝতেসি না।২০০৯ -এর দিকে দেশে গিয়ে ফারহান ভাইয়ের রিকোয়েস্টে ডিপার্টেমেন্টে বাইরে পড়তে আসার উপর একটা ওয়ার্কশপ করেছিলাম। স্টেপ-বাই-স্টেপ প্রসেসটার উপর একটা স্লাইড বানিয়েছিলাম। দেখতে পারো। এই লিংকে পাওয়া যাবে।
১০. আমি দেশ ছাড়তে চাই না। দেশেই থাকবো।খুব ভালো কথা। বিশ্বাস করো আমারও এখন পর্যন্ত দেশে ফেরার ইচ্ছা। দেখা যাক কী হয়। কিন্তু প্রত্যেকের একবারের জন্য হলেও দেশের বাইরে আসা উচিত। আর পড়তে আসলে ডিগ্ৰীর বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে। নিজের থেকে ভিন্ন মত, ধর্ম, চেহারা, কালচারের মানুষের সাথে মিশলে অনেক কিছু শেখার আছে। মানুষকে মানুষের সম্মান দেয়া, নিজের বর্ণবাদী মানসিকতার পরিবর্তনে, নিজের কাজ নিজে করা, কোনো কাজকেই ছোট করে না দেখা সহ অনেক বিষয় আছে, যেগুলো আমেরিকায় না আসলে আমি কোনোদিনও হয়তো শিখতাম না। বিদেশে ডিগ্রী শেষ করে দেশে ফিরে গেছে - আমাদের ডিপার্টমেন্টেরই সিনিয়র - জুনিয়র এমন অনেকেই আছে। কাজেই, ঐসব চিন্তা ছাড়ো, বাইরে পড়তে আসো, প্লিজ।
১১. আমি খুব সাধারণ মানের ছাত্র/ছাত্রী। আমি কী পারবো?
পারবা। দেশে আমরা অনেক বাধা- বিপত্তি পার করেই পড়াশুনা করি। আমরা নিজেরাও হয়তো জানি না যে আমরা একেকজন কত বড় ফাইটার। আর বাইরের পড়াশুনা (কোর্স ওয়ার্ক) আসলেই অনেক সহজ। না, আমি মোটেও বাড়িয়ে বলছি না। হয়তো কিছু ব্যতিক্রম আছে। কিন্তু সাধারণত আসলেও অনেক সহজ। বিশ্বাস না হলে বাইরে পড়ছে - এমন কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারো।
১২. এডমিশন হয়েছে ভাই, আমেরিকায় আসার সময় সাথে কী কী আনা উচিৎ? কালচারাল ডিফারেন্স বা শক সামলাতে পারবো তো ?এইটা আসলে কোনো আসল প্রশ্ন না। কেউ কোনোদিন আমাকে করেও নাই। কিন্তু এই দুই টপিকের উপর দুইটা ব্লগ পোস্ট লিখেছিলাম অনেক আগে। এই চান্সে নিজের ব্লগের এডভার্টাইস করে ফেললাম আর কি :) কী কী সাথে আনা উচিৎ সেটা এই লিংকে পাওয়া যাবে। আর কালচারাল ব্যাপারটা জানতে এই লিংকের পোস্টটা পড়ে দেখতে পারো।
আজকে এই পর্যন্তই। অন্য কোনো পয়েন্ট মনে পড়লে বা কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে পরে নিচে যোগ করে দিবো। দোয়ায় রাইখো ভাই!
--ইশতিয়াক। ৭ম ব্যাচ, সি এস ই ডি ইউ
Hello Ishtiaque Bhai, can I have your email id, facebook link or cell number? I need to contact you.
ReplyDeleteishtiaque[dot]h[@]gmail[dot]com
Deleteঅসাধারণ..... খুব ভাল লেগেছে... একসময় কাজে লাগবে আশা করছি। আসলে এই ধরনের সাপোর্ট গুলো কত যে প্রশান্তি এনে দেয়.... যে উপকৃত হয় শুধু সেই জানে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
ReplyDeleteশফিক
ডাটা এনালিস্ট
বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইসস্টিটিউট
মেরিন ড্রাইব রোড, কক্সবাজার
বাংলাদেশ।
Tintir Black 15-in-1 - titanium sunglasses - Tintir Black 15-in-1 - titanium
ReplyDeleteTintir Black 15-in-1 1xbet korean - Titanium titanium forging sunglasses - titanium armor Tintir Black 15-in-1 - titanium daith jewelry titanium sunglasses columbia titanium boots - Tintir Black 15-in-1. Tintir Black 15-in-1. Tintir Black 15-in-1. Tintir Black 15-in-1. Tintir Black 15-in-1. Tintir Black 15-in-1.
Thank you bhai, an for this informative blog post! I just learned about a lot of things from this post!
ReplyDelete